২১৫০ সাল। বিজ্ঞানীরা একটি ভয়ঙ্কর তথ্য আবিষ্কার করেন—সূর্য তার জ্বালানি দ্রুত হারিয়ে ফেলছে! স্বাভাবিকভাবে, সূর্যের মৃত্যু ঘটতে আরও কয়েক বিলিয়ন বছর লাগার কথা। কিন্তু কিছু অজানা কারণবশত, এই প্রক্রিয়াহাজার গুণ বেশি গতিতে এগোচ্ছে!
যদি এটি চলতে থাকে, তাহলে আগামী ১০ বছরের মধ্যেই পৃথিবীএকটি বরফময় মৃত্যুকূপে পরিণত হবে।
বাংলাদেশের বিজ্ঞানীরা এই সংকটের সমাধান বের করতে এক যুগান্তকারী পরিকল্পনা নেয়—“সূর্য পুনরুজ্জীবন প্রকল্প” (Solar Rejuvenation Project)।
ঢাকার“বাংলাদেশ অ্যাস্ট্রোফিজিক্স ইনস্টিটিউট”-এর তরুণ বিজ্ঞানী মাহদী ও রোহান এক অদ্ভুত সংকেত পায়। এটি মহাশূন্য থেকে আসছে, এবং এক নির্দিষ্ট কম্পাঙ্কে বারবার পুনরাবৃত্তি হচ্ছে।
বিস্ময়ের ব্যাপার হলো, সংকেতটি কিছু সংখ্যার মাধ্যমে একটি প্যাটার্ন তৈরি করছে—
“১৩, ২১, ৩৪, ৫৫, ৮৯…”
মাহদী দ্রুত বুঝতে পারে, এটিফিবোনাচ্চি সিরিজের সংখ্যা!
কিন্তু এই সংকেত আসছে কোথা থেকে?সূর্য কি নিজেই কোনো বার্তা পাঠাচ্ছে?!
বিজ্ঞানীরা নিশ্চিত হয় যে, সূর্যের ভেতরে“সোলার কোর”-এ কিছু অজানা পরিবর্তন ঘটছে। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের বিজ্ঞানীরা এ নিয়ে গবেষণা করলেও, মাহদী ও রোহানের ধারণা সম্পূর্ণ আলাদা।
তারা বিশ্বাস করে, সূর্যের এই পরিবর্তন কোনো“প্রাকৃতিক ঘটনা” নয়, বরং এটি কেউ বা কিছু ইচ্ছাকৃতভাবে ঘটাচ্ছে!
তাদের প্রস্তাবিত মিশন:
✅“সোলার রিসার্চ ভেসেল-১” নামে একটি বিশেষ মহাকাশযান তৈরি করা হবে, যা সূর্যের অভ্যন্তরে প্রবেশ করে তথ্য সংগ্রহ করবে।
✅ এই যানটি কৃত্রিমভাবে তৈরি করাসোলার শিল্ড ব্যবহার করে সূর্যের ভয়ংকর তাপ সহ্য করতে পারবে।
✅ এই যান চালাবে মাহদী, রোহান ও আরও তিনজন বিজ্ঞানী।
যাত্রার তিন দিন পর, তারা সূর্যের পৃষ্ঠে পৌঁছে একঅবিশ্বাস্য দৃশ্য দেখে!
একটি বিশাল ধাতব কাঠামো সূর্যের গায়ে আটকে আছে!
এটি প্রায়বাংলাদেশের সমান বড় এবং সম্পূর্ণ কৃত্রিম!
এর মানে, কেউ বা কিছু এই বস্তুটি এখানে স্থাপন করেছে!
তারা এই ধাতব বস্তুতে স্ক্যান চালিয়ে দেখে, এটি আসলেএকটি শক্তিশালী গ্রাভিটেশনাল ডিভাইস, যা সূর্যের জ্বালানি দ্রুত নিঃশেষ করে দিচ্ছে!
ঠিক তখনই তারা রেডিও সিগনালে এক বার্তা পায়—
“তোমরা এখানে কী করছ? এটি আমাদের সম্পত্তি!”
তারা দেখে, একদল রহস্যময় মহাকাশযান তাদের দিকে এগিয়ে আসছে!
এই মহাজাগতিক প্রাণীরা নিজেদের পরিচয় দেয়“সোলার ওয়ার্ডেনস” হিসেবে।
তাদের মতে—
✅সূর্য আসলে একটি “প্রাকৃতিক রিঅ্যাক্টর” যা তাদের সভ্যতা লক্ষ লক্ষ বছর ধরে ব্যবহার করে আসছে।
✅পৃথিবীর মানুষ এতদিন ধরে সূর্যের শক্তি ব্যবহার করলেও, তারা কখনোই অনুমতি নেয়নি!
✅ এখন তারা সূর্যের শক্তি শেষ করে নতুন এক নক্ষত্রে চলে যাবে।পৃথিবী টিকে থাকবে কি না, সেটি তাদের চিন্তার বিষয় নয়!
মাহদী ও রোহান বুঝতে পারে, যদি এই “সোলার ওয়ার্ডেনস”-দের থামানো না যায়, তাহলে পৃথিবী চিরতরে ধ্বংস হয়ে যাবে।
তাদের পরিকল্পনা:
✅ সূর্যের কোরে প্রবেশ করে ওইগ্রাভিটেশনাল ডিভাইসটি নিষ্ক্রিয় করা।
✅ এই কাজটি অত্যন্ত বিপজ্জনক, কারণ এতে সূর্যের ভেতরে প্রবেশ করতে হবে।
✅ ভুল করলে, তারা চিরতরে সূর্যের ভেতর হারিয়ে যাবে!
তারা কি এই অসম্ভব কাজটি করতে পারবে?
তারা অত্যাধুনিক মহাকাশযান“সোলার রিসার্চ ভেসে
ল-১” নিয়ে সূর্যের অভ্যন্তরে প্রবেশ করে।
প্রথমেই, তারা অনুভব করে যে, সময় এখানে অন্যরকমভাবে কাজ করছে!
তারা দেখে,ভবিষ্যৎ পৃথিবীর ধ্বংসপ্রাপ্ত ছবি তাদের চোখের সামনে ভেসে উঠছে!
তার মানে, যদি তারা ব্যর্থ হয়, তাহলেতাদের ভবিষ্যৎ অনিবার্যভাবে ধ্বংস হয়ে যাবে!
মাহদী ও রোহান সাহস করেডিভাইসের মূল অংশে এক শক্তিশালী ইলেক্ট্রো-ম্যাগনেটিক পালস (EMP) চালনা করে।
তারপর…
ঠিক যখন তারা ডিভাইসটি ধ্বংস করতে যাচ্ছে, তখনই তারা এক ভয়ঙ্কর সত্য জানতে পারে!
✅“সোলার ওয়ার্ডেনস” আসলে ভবিষ্যতের মানুষেরই এক অংশ!
✅ তারা আসলে২৫,০০০ বছর পরের মানবসভ্যতা, যারা সময় ভ্রমণ করে এসেছে!
✅ তাদের সভ্যতা মহাবিশ্বের বিভিন্ন নক্ষত্র থেকে শক্তি সংগ্রহ করে বেঁচে থাকে, কিন্তু তাদের সময় শেষ হয়ে এসেছে।
তাহলে কি মাহদী ও রোহানের এই কাজ তাদের নিজেদের ভবিষ্যৎকেই ধ্বংস করবে?
তারা কি করবে?
❌ডার্ক এন্ডিং:
মাহদী EMP চালনা করে, এবং ডিভাইসটি ধ্বংস হয়ে যায়। সূর্যের শক্তি ফিরতে শুরু করে, কিন্তু সেই সঙ্গে ভবিষ্যৎ মানবসভ্যতার অস্তিত্ব বিলীন হয়ে যায়। মাহদী ও রোহান বুঝতে পারে,তারা নিজেদের ভবিষ্যতকেই মুছে ফেলেছে!
গল্প কেমন হলো কমেন্ট করে জানাবেন। এবং ভালো লাগলে লাইক/কমেন্ট শেয়ার করে অন্যকে পড়তে উৎসাগিত করুন। ধন্যবাদ।